বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ কম, যে কারণে বাড়ছে দাম। এখন প্রায় অধিকাংশ সবজি কিনতে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আবার দাম বাড়ছে মাছেরও। ফলে বাজারে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা। তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও নানা ধরনের মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে এমনটা।সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির মৌসুম শেষ হয়ে গ্রীষ্মের মৌসুম পড়ছে। যে কারণে এ মাঝামাঝি সময়ে সবজির সরবরাহ কম। এতে প্রায় প্রতিটি সবজির কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে গত তিন-চার মাস সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে যে স্বস্তি ছিল, তা আর নেই। বাজারে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনো সবজির দাম একশো পেরিয়ে গেছে।
কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখন প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এরচেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৪০-৫০ টাকা কেজিতে।
এদিকে করলা, বেগুন, বরবটি কিনতে খরচ করতে হচ্ছে কেজিতে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এরচেয়ে বেশি দর দেখা গেছে কাঁকরোলের দাম। গ্রীষ্মকালীন এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজিনার দর সবসময় কিছুটা বেশি থাকে। এর কেজি দেখা গেছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে কারওয়ান বাজারে যেহেতু পাইকারি কেনাবেচা বেশি হয়, ফলে সেখানে সবজির দাম অন্য বাজারগুলোর চেয়ে কিছুটা কম।
তবে,বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মের সবজি কেবল উঠতে শুরু করেছে। প্রতিবছর সিজন চেঞ্জের এসময়ে দাম বেশি থেকে। কিছুদিন গেলে আবার দাম কমবে।